ডায়াবেটিস হলে শর্করাজাতীয় খাবার নিষেধ-এ কথা একেবারেই ভিত্তিহীন। আজকাল অনেকেই ডায়াবেটিস হলে শর্করাবিহীন বা নো কার্ব/লো কার্ব ডায়েট যাচ্ছেন। কারণ বিপাকক্রিয়ার আমাদের মূল শক্তির উৎস হলো শর্করা। তবে ডায়াবেটিসের রোগীর এই শর্করা গ্রহন করতে হবে ভালো খাত থেকে।
ভাত-রুটি ছাড়াও অন্যান্য খাবারের শর্করার দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। যেমন প্রধান খাবেরর পর ফল খাবেন না । এতে র্শকরা বেশি বাড়বে। সকাল ও বিকেলে খাবারের বিরতির ফলমূল খেতে হবে। এ ছাড়াও ফলের মৌসুমে অন্যান্য র্শকরা যেমন ভাত রুটি আলু খাওয়া কমিয়ে ফেলতে পারেন।সবজির ক্ষেত্রে শর্করাসংবলিত সবজি যেমন : আলু মিষ্টিকুমড়া কাঁচা কলা গাজর কাঁকরোল কাঁঠালে বিচি ,কচুরমুখি সীমিত পরিমাণে খেতে হবে।রান্নার ধরনের ওপরও রক্তে শর্করার বাড়া – কমা অনেকটা নির্ভর করে । শর্করাসংবলিত সবজিগুলাে অনেকক্ষণ ধরে রান্না করলে সহজে শােষণ হয় এবং দ্রুত রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয় । কাঁচা সবজিতে আঁশ বেশি বলে কম শােষিত হয় ।
ডায়াবেটিসে খাবারের ধরন
ডায়াবেটি শর্করাজাতীয় খাবার মূলত দুই ধরনের হয়ে থাকে। সরল শর্করা -যা খুব দ্রুত পরিপাক ও শোষিত হয়ে রক্তে গ্লুকোজ পরিমান দ্রুত বাড়িয়ে দেয়। এর মধ্যে রয়েছে
সুন্দর দাঁত সবার কাম্য
সুন্দর হাসির জন্যও ঝকঝকে সুন্দর দাঁতের বিকল্প নেই । কিন্তু কিছু সমস্যায় দাঁতের সৌন্দর্য বিনষ্ট হতে পারে । দাঁতের সৌন্দর্য বিনষ্টকারী অন্যতম কয়েকটি সমস্যা হলাে উঁচুনিচু দাঁত , স্পেসিং , ফাঁকা দাঁত , ওপেন বাইট বা দাঁত না মেলা , ওভার বাইট বা ওপরের দাঁত দিয়ে নিচের দাঁত ঢাকা পড়া এবং নিচের দাঁত ওপরের তালু পর্যন্ত পৌঁছে যাওয়া , এজ টু এজ কামড় , উচু দাঁত কিংবা নিচু দাঁত , ক্রস বাইট বা অসম কামড় , ঘােরানাে দাত ইত্যাদি । কারণ দাঁত ও চোয়ালের হাড়ের আকারের আয়তনে অসামঞ্জস্য , হাড় বড় হলে বা দাঁত ছােট হলে কিংবা উল্টোটা হলে এমন হতে পারে । দুধদাঁত সময়ের আগে পড়ে গেলে বা নির্দিষ্ট সময়ের পরও রয়ে গেলে , অস্বাভাবিক আঙুল চোষার অভ্যাস , ঠোঁট বা তালুকাটা , জন্মগত চোয়ালের হাড়ের অস্বাভাবিকতা , ল্যাবিয়াল ফ্রিনামের অস্বাভাবিকতা , বংশগত , দাঁত ফেলে দিয়ে কৃত্রিম দাঁত সংযােজন না করা ইত্যাদি । নেতিবাচক দিক দাঁতের অবস্থানের কারণে অনেক ক্ষেত্রেই সৌন্দর্যহানি হয় ।

এ ছাড়া সব দাঁতে ব্রাশ পৌঁছায় না । ফলে ঠিকভাবে দাঁত পরিষ্কার করা হয় না । এতে ক্যারিজ বা গর্ত , মাড়ি রােগ , মুখে দুর্গন্ধ , ঘর্ষণজনিত দাঁতক্ষয় থেকে শিরশির অনুভূতি দেখা দেয় এবং দাঁত বিবর্ণ দেখায় । এ ছাড়া সামান্য আঘাতে সামনের দাঁত ভাঙা , অসম কামড়ে দাঁতের ক্ষয় ও চোয়ালের অস্থিসন্ধিতে জটিলতা , জিহ্বা বা গালে কামড় পড়ার সমস্যাও দেখা দেয় । কারও কারও ক্ষেত্রে খাবার চিবুতে অথবা কথা বলতেও সমস্যা হতে পারে । করণীয় অর্থোডন্টিক চিকিৎসার মাধ্যমে দাঁতকে সুসজ্জিত ও সুসামঞ্জস্যপূর্ণ করা সম্ভব । একসময় ধারণা করা হতাে বয়স হলে হয়তাে এমন চিকিৎসা সম্ভব নয় । কিন্তু বর্তমানে আমাদের দেশেই এর সফল চিকিৎসা চলছে । তবে শুরু থেকেই এলােমেলাে দাঁতের সম্ভাবনা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শে থাকা উচিত ।
এতে চিকিৎসায় সময় কম লাগে । বয়স বেশি । হলে চিকিৎসায় সময়ও বেশি লাগে । অনেক সময় অর্থোডন্টিক চিকিৎসায় দাঁতের জায়গা ঠিকভাবে তৈরির জন্য চারটি দাঁত ফেলে দিতে হয় । পরে অবশ্য অন্য দাঁত দিয়ে এই শূন্যস্থান পূরণ হয়ে যায় । ফাঁকা দাঁতের ক্ষেত্রে বন্ডিং ফিলিংয়ের মাধ্যমে সহজেই সমাধান সম্ভব । পুনরায় আকার দিতে বা চোয়াল ছােট করার জন্য কখনাে কখনাে অস্ত্রোপচারের প্রয়ােজন পড়তে পারে ।